ধ্বংস প্রায় ভাটির মুল্লুক।
ধ্বংস প্রায় ভাটির মুল্লুক।
এ, জি হাওলাদার
উথাল মেঘনার মায়াময়ী গর্ভে জন্ম নেওয়া, শত শত নয় হাজার থেকে হাজার সাল হয়েছে এই দ্বীপটা আয়ূশকাল সাগর গর্ভে জন্ম নেওয়া এই দ্বীপটি, কালের হালে এখন
ধ্বংষ প্রায় : দ্বীপটি ভাঙ্গনের কবলে পরার থেকে এখনও পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া এবং
যারা পরিত্যাক্ত সম্পদের শেষ নিঃর্জাস
টুকু কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য বসে আছেন এবং মাঝে মধ্যে আসেন যান। সেই সব
বাসীন্দাদের অন্তর মোড়কে ঘুমিয়ে থাকা বিবেককে জাগিয়ে তুলে দ্বীপটি রক্ষার জন্য
আমার হৃদয় চিরা এই আর্তনাদ। জেগে উঠুন নিজে, জাগিয়ে তুলুন সবে জন্ম ভূমিকে হেন ধ্বংস
থেকে রক্ষার দায় আপনার, আমার, আমাদের সবের।
|
বঙ্গ পসাগরের গর্ভাশয়ে মেঘনার জলরাশীর স্পন্দনে সাগর গর্ভে জন্ম নেওয়া দ্বীপটি কাল পেরিয়ে কালে সাঁজে ভাটির মহলে। সহস্র মাইল দুর হতে গাঙ্গত্রীর জ্বলে গাত্র রোশে। সপ্ত ধারার বহর সাজায় উল্টা বাহে আঁকা বাঁকায় গঙ্গা নামে বঙ্গে পাঠায়। আসে যবে সীমানায় সোজা ছেড়ে ঘাড় মোড়ে পদ্মা নামে ঢোকে বাংলায়।
সাগর গর্ভে মেঘনার জলরাশীর পরশে জন্ম নেয় ভাটির মুল্লুক আবার মেঘনার কড়াল গাসেই তা ধ্বংস প্রায়
অবশিষ্টায়। যার বর্তমান আয়তন দৈঘে ৯ কিলো আর প্রস্থে ৬ কিলো।
আর ভাটির মুল্লুকের রাজ মহলের বাহির বাড়ীর ভঙ্গুর অবশিষ্টাং থাকলেও পরিবারের কোন সদস্যেরই কোনই অস্তিত্ব নাই। তবে এই অট্টালিকার ভিতরে রহস্যময়ী সুড়অেস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর ধারা বাহিক হবে।
এই সেই রহস্যময়ী সুড়ঙ্গ
রহস্যময়ী সুড়ঙ্গটির ঘটনাবলি নিয়া আমার এই লেখায় আনুসাঙ্গিকতার অনেক অভাব থাকিলেও, আমি আমার মনের নিরন্তন যাতনার থেকেই এই লেখা লিখতে চাই। কেননা এই সুড়ঙ্গটি নিয়া রূপকথার অনেক গল্প শুনেছি আবার এও জেনেছি যে রূপকথায় কাল্পনিক ছাড়া কোন বাস্তবতা নেই। তবে এমন একটা কাল্পনিক গল্পের কিছুটা বাস্তবতা যদি থাকে তাহলে কেমন হবে !
তেমনই লোমহর্সক গল্পের রোমাঞ্চকর অনুপ্রেরনায় উদ্ধেলিত হয়ে নিজের দেখামতে কিছুটা বাস্তব উদাহরণ নিয়েই আমার এই লেখার অভিপ্রায়।
হইতে পারে তা নেহায়েতই কাল্পনিক, তবে যাকে ঘিরে এমন কল্প কথার আল্পনা সে কিন্তু আসলেই অবাস্তব না। তার বাস্তব প্রমানের কিছু ছবি সর্বজনকে দেখাইতে বা জানাইতে হইলে আমাকে অনেক কিছুই বলিতে হইবে। এমন বাস্তবতার অস্তিত্ব ধারন করে প্রমানের সামর্থ পেলাম কোথাহতে। কেমনে কি ভাবে জানানো সম্ভব হইতেছে তারওতো কিছুটা জানাইতে হয়। তাই সেই ভাবের কিছু উদাহরণ সংযোজন করার চেষ্টা করেছি, যার সবটাই সত্য সবের তরে অনুপ্রেরনার জন্য। কেননা রূপকথা উথ্থনের বাস্তব প্রমানের জন্য ধারাবাহিকতায়, পর্যায়ে আবারও সেই রূপকথাই আনিতে হবে।
রহস্যময়ী সুড়ঙ্গ
এই জগতে প্রাণীকুলের আবির্ভাব কবে, কিভাবে হয়েছে তার সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন করিতে না পারিলেও মানুষ বুঝতে পারে যে এর সবটা শ্রষ্টারই কারিশ্মা। প্রকৃতির সৃষ্ট সবকিছুই আপনার ধারা ঠিকরেখে আপন গতিতেই চলে বা চলিতে সক্ষম। তারই হিসাব নিকাশের নির্যাষ থেকেই মানুষ বুঝতে পারে যে আপনার বলয় আপনাকেই গড়িতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সবকিছু ঠিক রেখে মানুষ অমনটাই করিতেছে যেমনটা করিলে সার্বজনিন মঙ্গল হবে।
রহস্যময়ী পৃথিবীর সৃষ্ট সবটাতে,
আবৃত থাকে কেন কিসে কোন রহস্যতে।
তাইতো খুজছে প্রশান্ত থেকে তেপান্তরেতে,
ছুটছে মানুষ মহাকাশ থেকে মহাশূন্যতে।
জানিতে চাহিছে আদী থেকে অদ্য,
বর্ণমালা সৃজিয়া সাজায় পদ্য আর গদ্য।
সেথাহতে জানিয়া, কি বুঝিতে পারিয়া,
কোথায় কেমনে তা রাখিয়াছ লিখিয়া।
কি-করে একের থেকে আরেক,
জানতে পারিছে অল্পতে অনেক।
তার থেকেই সবকিছু বুঝিয়া,
কার্য সাধিছে তার রহস্য ভেধিয়া।
No comments