ভাটীর মুল্লুকের খাটি কথা ২য় পোষ্ট
ভাটীর মুল্লুকের খাটি কথা।
এ, জি হাওলাদার
উথাল মেঘনার মায়াময়ী গর্ভে জন্ম নেওয়া,
শত শত নয় হাজার থেকে হাজার সাল হয়েছে এই দ্বীপটা আয়ূশকাল
সাগর গর্ভে জন্ম নেওয়া এই দ্বীপটি, কালের হালে এখন ধ্বংষ প্রায় :
সাগর গর্ভে জন্ম নেওয়া এই দ্বীপটি, কালের হালে এখন ধ্বংষ প্রায় :
কৌতুহলী মানুষ :
মানুষ আপন প্রয়োজনিয়তা মিটাইতে শক্ত পোক্ত করে যত শক্তিশালী ভাবে যা কিছুই তৈরী করুকনা কেন, তার সবটারই নিয়ম নিতির পরিবর্তন সহ বিনাশ অবধারিত। তার পরেও কৌতুহলি মানুষ স্রোষ্টার সৃষ্টিতে তৃপ্ত নাথেকে সব কিছুতেই কৃত্তিম বিপত্তি সৃষ্টি করে পরিবর্তন ঘটাইতেছে।
প্রকৃতির সৃষ্ট বরফের কারখানা :
প্রকৃতির সৃষ্ট এই পৃথিবীতে এমন সব স্থানও আছে যেখানে বরফ তৈরীতে অভিনব কোন উপায় অবলম্বনের প্রয়োজনই হয়না। এমনকি বরফগুলো শক্ত অবস্থানে থেকেও পানিতেই ভাসিতেছে, তাও আবার ক্ষনিকের জন্য নয়। যুগ থেকে যুগান্তর অবধী অবস্থান ঠিক রেখে একই প্রক্রিয়ায় চলিতেছে।
কোন কোন স্থানে আবার প্রকৃতির দানে আকাশচুম্বি শক্ত বরফের পাহাড়ও আছে। ঐসব পাহাড়ের বরফ গুলো সূর্য্যরে প্রখড় তাপ ও প্রবল বাতাসে থাকিলেও গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়না। যদিও সেই বরফরাশী স্থান অবস্থান সহ নিজের অস্তিত্ব ঠিকরেখে অদৃশ্য প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত গলেই চলেছে। তাদের সেই গলন প্রক্রিয়ায় নির্গত জলরাশী ঝর্ণার অঝোর ধারায় অবিরাম ঝড়েই চলেছে। কিন্তু সেই পাহারের বরফগুলো কখনই শেষ হয়ে যায়না।
প্রকৃতির নিয়মে সৃষ্ট তেমনই একটি বিশাল বরফের কারখানা, যার নাম হিমালয় পর্বতমালা। এর অবস্থান নেপাল ভারত চীন তথা তিব্বতের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে।
হিমালয়ের সেই বরফ গলা পানি একাধিক ধারায় ঝরেই চলেছে। সেই পানিগুলো প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট স্থানে বর্ষনের ফলে উপছেপরা পানি এক একটা ধারায় প্রবাহিত হয়ে নিম্নটানে চলতে থাকে। এই সব পানি অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে সমতলের এসে অসমতলের বেড়িকেটে আটকে যায়। কিন্তু না তাতেও এর অবস্থান একই জায়গায় থাকেনা। কেননা ক্রমবর্ধমান প্রবাহের ফলে সেখানেও অবস্থানকৃত পানির পরিমান বারতে থাকে। যেকারণে সেই বেরীকেট ভেঙ্গে বা অপেক্ষাকৃত নিচু স্থান বেছে নিয়ে নয়তোবা ঐ পানি উপছে পরে প্রবাহের নতুন ধারা সৃষ্টি করে নিম্নটানে যাইতে থাকে। এই প্রবাহ ধারা তার চলার পথে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাধা বিপত্তিকে ভেঙ্গেচুড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে ঐ প্রবাহ এতই প্রখড় হয় যে, তার চলার পথে অপেক্ষাকৃত নরম মাটিগুলোকেও দুমরে মুচরে গলিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাইতে থাকে। যারফলে সৃষ্টি হয় নালার। উজানের এই পানি অপসারণের নিম্নটানে যাইতে যেই নালা তৈরী করে তারাও অনেক বাঁধা বিপত্তির কারণে আঁকা বাঁকা পথে চলতে বাধ্য হয়। যে কারণে পানি অপসারন গতীতে ক্রমবর্ধমান প্রবাহের ফলে ঐ নালাগুলো দিনকে দিন গভীর ও প্রসস্ত হইতে থাকে।
No comments