তিলোত্তোমা মেহেন্দিগঞ্জ
বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তন-১৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখার পরিমান ১৬,০০,০০,০০০
সেই হিসাবে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবা করেন ১০৮৪.২৩ জন মানুষ।
তিলেতিলে গড়ে ওঠে পুর্ণাঙ্গতাই যদি তিলোত্তোমা হয়,
তবে তা আমাদের এই দ্বীপটি ছাড়া আর কোনটি নয়।
পৃথিবীর সমিক্ষায় আয়তনের দিক থেকে জনসংখার পরিসংখানে বাংলাদেশের স্থান অন্যতম।
এর মধ্যে নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জের থানা ঘঠিত দ্বীপটি আয়তনের তুলনায় মানব জাতিতে পরিবেষ্টিত ভুমন্ডলে অন্যতম।
সার্বিক জড়িপে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের গড় হিসাবে এর দ্বিতীয়টাতো দূরের কথা সপ্তম স্থানটির জন্যও আর একটি নিদর্শন খুজে পাওয়া যাবেনা। এবং গ্যারান্টি সহকারে এও বলাযায় যে আর কোনদিন হবেও না।
এর কারণ এক নয় অনেকঃ-
১) প্রকৃতিরদানে মন মাতানো রূপালী ইলিশের অভয়ারণ্যময় নদী বেশ্টিত দ্বীপ। এক বা দুই নয় ছোট ছোট ২০ টিরও বেশী দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি মাত্র থানা।
সূর্য যেমন অগনিত গ্রহমন্ডলীর পরিবেষ্টনিতে দৃশ্যত জগত নিয়ে আপন বায়ূমন্ডলে বিরাজমান। তেমনি এই দ্বীপটিও চতুরদিকে ছোট বড় অসংখ দ্বীপের বেষ্টনী সাজিয়ে আপন ভুবনে প্রতিয়মান।
যদিও বর্তমানে এর অন্তর্ভুক্ত আরো একটি থানা গঠিত হয়েছে, তবে-তা বহুমাত্রিক দ্বীপের আওতার বাহিরে।
তবে, এর বৈভবের বেধ বিধুরতা সহ সব কিছুরই প্রমান হয়তো এখনও নিহিত রহিয়াছে ঐ রহস্যময়ী সুড়ঙ্গেরই অন্তরালে। কেননা সুড়ঙ্গের নির্মান কৌশল দেখে মনে হয়না যে কেথাও কোনভাবে গমন বহির্গমনের জন্য এই সুড়ঙ্গটি তৈরী করা হয়েছে।
এই অঞ্চলটি বর্তমান আধুনিকতায় আলোরন সৃষ্টি কারী কোন নামি সিটি শহর না হইলেও সব মিলিয়ে দামিতো বটেই।
যেকারণে মন মাতানো জলাঞ্চলে পরিবিষ্ট অতিব সুন্দর দর্শনিয় দ্বীপ কুঞ্জ গুলো আপন উদ্দিপনায় সেঁজে থাকিলেও প্রচার অবহেলায় যা রহিয়াছে পর্যটক প্রেমিদের ধারনার বাহিরে। যেকারণে আধুনিক যুগের কোন ভ্রমন বিলাসী এখানকার এমন পরিবেশের কোন খবরই জানেননা। তাই তাদের ভ্রমন পিয়াস মিটাইতে কেহই এখানে আসেননা।
এখানে এমন অনেক দ্বীপ আছে যাকিনা জোয়ারের পানিতে হারিয়ে যায় ভাটিরটানে আবার জেগেওঠে। কোন কোন দ্বীপ আবার প্রকৃতিরদানে বিনা পরিচর্যার উদ্ভিদ নিয়ে দৃষ্টিনন্দন ভাবে সেজে থাকে। তাদের এমন সব বাহারী শোভা অলংকরনের উপাদান সমুহ উদ্ভিদ গুল হইল। হোগলা পাতা, কাইচা, ক্ষেরী সহ আরো নানাবিধ বনজ ফলজ গাছ গাছালী।
২) মনোরম পরিবেশের সবুজে পরিপাটি মেহেন্দিগঞ্জের থানা ঘঠিত মুল দ্বীপটি দৈর্ঘ প্রস্থ্যে ১০*৬=৬০ বর্গ কিলোমিটার।
আশ্চার্য্য হইলেও সত্যি যে এত ছোট্ট একটি দ্বীপে তিন (৩০০,০০০) লক্ষ্যাদিক লোকের বসবাস। আয়তনের হিসাবে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় পাঁচ (৫,০০০) হাজার লোক বসবাস করেন। যা পৃথিবীতো দূরের কথা অতি বসতির বাংলাদেশের গড় হিসাব থেক চার গুনেরও বেশী। যা স্বাভাবিক ভাবেই আধুনিক যুগেও অত্যাধুনিক ঘটনা।
৩) দ্বীপটির বিশাল এই জনগোষ্ঠির দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য একটু একটু করে গড়ে উঠেছে ২টি বন্দর বাজার। সেই সাথে আরো ৮/১০টি হাট তারপরেও অধিক জনবসতির প্রয়োজনিয়তায় এসব হাটের ব্যবধানে স্থানভেধে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট আরো বেশ কিছু বাজার।
এরসাথে আছে ব্যাংক বীমা সহ আরে নানাবিধ এনজিও সংস্থা। এমন সব বিশাল বিশাল নদীর বেষ্টনীতে থেকেও অগ্নি নির্বাপনের জন্য বহুবিধ নিরাপত্তায় আছে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের বহুতল ভবন।
৪) স্বাস্থ্য সেবা পরিচর্যার জন্য আছে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উলানিয়া জমিদার ষ্টেটের আওতাধীন মাতৃসদন ক্লিনিক এলাকা বিত্তক কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বন্দর বাজারে আছে বেশ কয়টি প্রাইভেট ক্লিনিক।
৫) শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাচীন যুগের না হইলেও ততকালিন জমিদারী যুগে ১৯১২ ইং সনে স্থাপিত উলানিয়া করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আরো প্রায় ২০ টির মতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আছে জুনিয়র স্কুল, সরকারী প্রাথমিক, রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, অসংখ মক্তব, মাদ্রাসা বর্তমানের তালমিলিয়ে আছে কিন্ডার গার্টেন বিদ্যাপিঠ। আরসি কলেজ, এম এ খান কলেজ, মহিলা ও মাদ্রাসা ডিগ্রীকলেজ সহ ৫টি ডিগ্রী কলেজ এবং মাদারতলী ১একটি মাদ্রাসা কলেজও আছে।
শিক্ষা বব্যবস্থার নিয়মানুসারে আধুনিকতার সর্ব সামনযষ্যতা বজায় রেখে আছে প্রতিযোগিতাময় শিক্ষা পদ্ধতিতে।
৬) ধর্মীয় উপাসনার জন্য শত শত বা হাজর সাল পুরানো নাম না জানা সলদির গায়েবি মসজিদ। নিপুন শৈল্পিকতায় অপরূপ কারুকাজ খচিত উলানিয়ার জমিদার বাড়ির মসজিদটি সহ আছে দুই শতাধিক মসজিদ ও মন্দির।
৭) আছে জমিদারী যুগের জমিদার ষ্টেটের প্রশাসনিক ও ব্যবহারীক ভবনের স্থাপনা সহ পুরানামলের স্মৃতিগাথা অনেক নিদর্শনা। যাকিনা যুগের সাক্ষী হয়ে এখনও প্রত্ন তত্বের খাতায় স্থান পায়নি। তাই পরিচর্যাহীন পরিত্যাক্ত হয়ে অনাদর আর অবহেলার কারণে ভিতীকর রহস্যে আবৃত ভূতাশ্রমে পরিনত হয়ে আছে।
৮) এখানে এই দ্বীপটিতে আরো এমন কিছু নিদর্শনা আছে যা বহু পুরানামলে। যা হাজার হাজার সাল পুরনো। হয়তোবা হবে মানব সভ্যতা প্রারম্ভভকালের অজানা কথার গোপন রহস্যে আবৃত রূপ কথার সুড়ঙ্গ বেষ্টিত প্রাচীন কালের অট্টালিকা। যার অবস্থান থাকিলেও স্থাপিত কাল বা প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিবর্গের পিরচয় রূপকথার ন্যায় কল্পনায় ভিবিন্ন জন ভিবিন্ন মন্তব্য করে থাকেন।

কিন্তু কেন তবে এত সুকৌশল উপায়ে এমন সুড়ঙ্গ তৈরী করা হলো ?
কেনইবা এর নির্মান পদ্ধতি এমন রহস্যজনক ?
তবেকি আত্মগোপনের জন্য বিশেষভাবে এমন নিপুন পদ্ধতীতে এই সুড়ঙ্গটি তৈরী করা হয়েছে। তাই যদি হয়ে থাকে আত্ম রক্ষার জন্যই এমন পদ্ধতি তবে এমন গুহায় আত্মা কতক্ষন টিকবে। আবার থাকবে কোথায় আর খাইবেইবা-কি।
তাহলে ভিতরে থাকা ও রসদ সংরক্ষনের মতন ব্যবস্থা আছেকি ?
এমন সব রহস্যের বাস্তব সমাধান বা উত্তর হয়তোবা ঐ সুড়ঙ্গটির অন্তরালেই বিদ্যমান রহিয়াছে।
এবার আসাযাক আরো কিছুটা বিস্তারিত বর্ণনায়।
এই অঞ্চলটি বর্তমান আধুনিকতায় আলোরন সৃষ্টি কারী কোন নামি সিটি শহর না হইলেও সব মিলিয়ে দামিতো বটেই।
যদিও নদীর কড়াল গ্রাসে ক্ষত বিক্ষত হয়ে স্থানীয়রাই অন্যত্র পালাইতে ব্যস্ত।
তাই এর উন্নয়ন কর্মে কাহারোই তেমন কোন আগ্রহ নেই।

অথচ পাচ্যাত্তের এমন কোন ইতিহাস নাই যার কোন একটার সাথে এই দ্বীপাঞ্চলটি জড়িতনা। যত হাজার সাল আগে যখনই সভ্যতার বিবর্তন শুরু হয়েছে তখনই এই দ্বীপটা আবিষ্কার হয়েছে।
কেননা মানব সভ্যতার প্রাগলে দূর পরিভ্রমনের প্রথম উপায় জলপথ। সেই সুত্রধরেই কালের প্রবাহে মানব পরিবিষ্টতায় সৃষ্ট ভাটীর মুল্লুকের রাজপাট। যার পরিপাটি অলংকরনে নর্মিত জারী সারী পুথী ভাটীয়ালী গান গল্পের অন্তনাই।
যাক সেইসব আলোচনা পর্যায়ে হবে এখন তবে ৮ প্রসংগের ১ নাম্বারের থেকেই আলোচনা শুরু করাযাক।
এখানের প্রত্যেকটা দ্বীপই ওতপ্রত ভাবে সর্বদাই মানব কল্যানে নিয়োজিত থাকে।
এরমধ্যে যে সব চরগুলো জোয়ার ভাটার নিয়ন্ত্রনে চলে
Thank for reading this post. Do not forget to like, share and comment. Your comment can be so helpful for me.
Don't stop to like, share and my works and help the helpless. 

No comments