“মন” দৈহিক সত্তাহীন ঐশ্বরীক শক্তি সম্পন্ন স্ব-সীম ক্ষমতার জাগরণ।
মনতন্ত্রে পরিচালিত মানব দেহ:
মানব দেহের চলা, বলা, চোখে দেখা, কানে শোনা, সার্বিক কর্ম করা সহ অঙ্গ,
প্রতঙ্গ পরিচালিত হয়ে থাকে অদৃশ্য “মনের” ঈশারায় এবং প্রতক্ষ্য ব্রেইনের নির্দেশনায়।
এইটা মানতে হবে যে “মন” দৈহিক সত্তাহীন হইলেও একান্তই ঐশ্বরীক শক্তিসম্পন্ন স্ব-সীম ক্ষমতাধর।
আবেগ দাহে কম্পিত ব্রেইন:
মনের চাহিত ক্ষমতাকে রূপদানে কৌতহলী করে প্রথম যে, সমীকরণ যোগায় তার
নাম হলো আবেগ। এই আবেগে কম্পিত মন অদৃশ্য অবস্থানে থেকে নিজের মতন করে স্পন্দন যোগীয়ে
ব্রেইন নামের হেড ষ্টেশনকে কৌতুহলী করে তোলে। কেননা মানব দেহের প্রতিটা অঙ্গই ব্রেইন
নামক হেডকোয়াটারে অবস্থানরত নার্ভের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে থাকে।
১) মনতন্ত্রের আকাঙ্খা আবেগমন্ত্রের অস্থির দাহন কর্ম সম্পাদনে ততপরতা
যোগায়,
২) নাকি বিবেগমন্ত্রের মায়াযন্ত্রনায় ক্লান্তিময় কর্মযজ্ঞ থেকে
বিরতি থাকার পরমর্শ দেয়, সেই হিসাবটা বের করা খুবই কঠিন।
মর্মবেদনা কতটা যে হৃদয় বিধারক এবং জৌলুশ মুখর হয়, সেইটা সঠিকভাবে অনুধাবন
করা সম্ভবনা।
ইহাই সত্য যে, মানব চাহিদা সর্বদাই আবেগ তাড়নায় পরিচালিত হয়ে থাকে।
যা আপন জন থেকে অতি কাছের দৃষ্টি সীমা ও শ্রবণ লিলায় সৃষ্ট লালসার কাল্পনিক ভাবধারা
থেকে উৎপত্তি হয়ে থাকে ।
মানুষ সমাজ বদ্ধ প্রাণী হইলেও অস্বাভাবিক ভাবে প্রতিযোগীতাপরায়ণ, সর্বদাই
কৌতুহলী এবং পরশ্রীকাতর। আর মানব জীবনে প্রয়োজনিয় চাহিদার অন্ত নাই। এইসব চাহিদার বহুলাংশ
সচরাচর উৎপত্তি হয়ে থাকে প্রতিযোগী মনের ভাব দাহ থেকে।
কারণ আবেগ এমন কিছু চাহিদার সৃষ্টি করে যা বাস্তবায়ন করা কঠিন।
এমন কি কখনও কখনও প্রায় অসম্ভ ও হয়ে পরে। তবুও আবেগ থেমে থাকেনা। চাহিদা যতই কঠিন হোকনা
কেন কঠিন কামনায় মায়াবী বাস্তবতা কখনও না কখনও সফল হয়ে যাইতে পারে। তাই আকাঙ্খার বাস্তবায়ন
করতে বিবেক বাঁধা দিলেও আবেগ তার কার্য সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত থামতে রাজী থাকেনা।
কেননা অভাবে হোক আর স্বভাবে হোক, কখনও কিছু করতে চাইলে, বাস্তব আর অবাস্তব
মিলিয়ে মন এমন কিছু প্রশ্ন তুলে, যার ব্যাখ্যা করতে করতে কর্মচাহিদা মলিন থেকে কখনও
আবার ম্লান ও হয়ে যায়।
তাতে জীবন যুদ্ধের ময়দানটার পরিধী হিসাব করা কঠিন। এই ময়দানটা এতোই
বিশাল যে, এখানে চাহিদার ধারণ ক্ষমতার কোন লিমিট নাই। পক্ষান্তরে এর সঙ্কোচনের পরিধী
কখনও আবার বিন্দুর থেকেও ক্ষুদ্র হয়ে যায়। তবু কি মানুষ কোনটাতে থেমে থাকতে পারে।
“না পারেনা” কেননা আবেগ যদি ক্লান্ত হয়ে পরে, তখনই ভিতু স্বভাবের
লাজুক বিবেকটায় নানান ধরণের প্রশ্ন তোলে। . . . . . . . .
No comments