কঠিন দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে বাচার জন্য এক অসহায়ের করুণ আর্তনাদ।
কঠিন দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে বাচার জন্য এক অসহায়ের করুণ আর্তনাদ
আস্স্লামুআলাইকুম, জনাব আমার সালাম নিবেন। দুর্নীতির যাতাকলে পিষ্ট আমি, দুর্নীতিবাজদের থেকে মুক্তি চাই। আমি জনি, শুনি এবং প্রতিনিয়তই দেখতে পাই। আপনি অন্যায়ের প্রতিবাদী হয়ে অসহায়ের সহাক হয়ে সহায়তা দিয়ে থাকেন। তাই আমার নিবেদন আমার করুন ফরিয়াদ আমাকে বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আপনাদের সাহায্যের হাতটা বারিয়ে দিন যাতে অনাকাঙ্খিত ভাবে আরো ধ্বংসের থেকে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে মুক্তি পাইতে পারি। . . . . .
আমার সমস্যাটা হইল ২০০৫ সালে সোনালী ব্যাংক নর্থ সাউথ রোড শাখা থেকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেইজী প্রডাক্টস এর নামে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেই। গ্রান্টি হিসাবে গেন্ডারীয়া মৌজার মীর হাজীরবাগ এলাকার ৪ কাঠা=৬ শতাংশ জমি বন্ধক রাখি। একটা ভুয়া দলিল সৃজন করে স্থানীয় ভূমি দস্যু শফিকুল ইসলাম আমার সেই জমি দখল করে নেয়। তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার আশ্বাসের পর আশ্বাস দিলেও বন্ধকীয় জমিটি রক্ষার সঠিক কোন ব্যবস্থা নেন নাই। তিনি যা করেছে তা একান্তই আমাকে দেখানোর জন্য। তাতেও নির্ধারিত থানায় চিঠি না দিয়ে অন্য থানায় চিঠি দিয়ে আমাকে আসস্ত করতে থাকলেও আমাকে কিছুই জানতে দেয় নাই। এরপর তিনি থেকে পরবর্তী ম্যানেজারগণ নানান কুট কৌশলে আমার বন্ধকী জমিটি বন্ধকীয় দায় থেকে রিলিজ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে। ঋণের ১০ লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য তৎকালীন সময়ে ৩ কোটি টাকারও বেশী মূল্যমানের দখলচ্যুৎ ঐ জমিটি নিলামে বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে বিক্রি করতে না পেরে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেরেজমেন্ট করতে থাকে, যেকারণে একই লিমিটের উপরে আরো একটা মর্টগেজ হিসাবে সাভার মুশুরী খোলাতে অবস্থিত ১০ কাঠা=১৫ শতাংশ জমি বন্ধ দিতে বাধ্য হই। এভাবে পরবর্তী প্রত্যেকটা ম্যানেজারই নানান কৌশলে আমাকে হেরেজমেন্ট করতে থাকে ঐ জমি ২০১৯ সালেও নিলাম দেওয়া হয়। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের অসদাচরনে ক্লান্ত আমি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পরি। এরই মধ্যে করোনা মাহামারী শুরু হয়ে যায় তখনকার অভানীয় দুরবস্থার মধ্যে ৫০ জনেরও বেশী কারীকর নিয়া পরিচালিত ডেইজী প্রডাক্টস নামক আমার ব্যবসাটি বন্ধ করতে বাধ্য হই। তার মধ্যেও বহু কষ্ট ক্লেশ করে ঋণটির লিমিট কন্ট্রোলে রাখি। তার পরেও ঐ একই জমি ২০২২ সালে বিক্রির জন্য আবারও নিলামে বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।এতোকাল ধরে আমাকে নিঃশ্বেষ করে ২০২৩ সালে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে। ব্যাংকের অসাধু কর্মচারীদের অপকর্মের দায় আড়াল করতে ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানের গায়ে জরিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর চলতে থাকা ঋণটির বিরুদ্ধে যখন মামলা করা হয় তখনও মামলা খরচ সহ আমার কাছে সর্ব মোট ১১৩৯০০০ টাকার দায় দেখানো হয়। এভাবে অর্থ জারী পর্যন্ত ১৫ লক্ষের কিছুটা বেশী হবে। তাতে ৫ কোটি টাকারও বেশী মূলের সম্পত্তি তাদের পাওনা আদারে জন্য কত টাকায় বিক্রি করবে জানিনা। তাই আমার ফরিয়াদ মানবতার দৃষ্টিতে আমার এই বিপদ থেকে রক্ষার চেষ্টা করিলে বাধীত হবো। আমার আর্তনাদ আপনাদের কাছে কি ভাবে পৌছাইব জানিনা তাই এই উপায় অবলম্বন করলাম ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
No comments