Grow your own TRAFFIC HERO with Adfeedz!

কাল্পনিক গজব

আপনার কি একটু সময় হবে, যদি হয় তবে পড়ুন, নয়তোবা পরেও পড়তে পারেন । অনেক না হয় অন্তত কিছুুটা হইলেও ভালো লাগতে পারে ।

শর্ত

জ্বী এইটাই সত্যি এবং প্রমান বিদ্যমান, যার প্রমানিক করণে প্রয়োজনীয় প্রমানাদীর অনেকটাই আমার সংগ্রহে ও রহিয়াছে । এই বিষয়ে আপনাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা সর্বদাই প্রস্তুত আছি এবং থাকব ও বটে ।
লেখাটা এখন ধারাবাহিক ভাবে চলিতে থাকিলেও পর্যায়ে এইটাকে পার্ট করে প্রচার করা হবে এবং আপনাদের সহায়তায় শব্দগত সমস্যা শঠিক করণ সহ সর্বাঙ্গিন শুশ্রূষার মাধ্যমে শুদ্ধতা আনার চেষ্টা করা হবে । সেই সব বিষয়াদী নিয়ে আপনাদের সার্বিক সহায়তা পাওয়ার আশা রইল।

সংবেদনশীলতা

তবে জানিনা বিষয়টি কে কিভাবে নিবেন তবুও বলি, savenylandbd.com ওয়েভটি ২০১১ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে নানান প্রতিকুলতার সাথে অদক্ষতা ও লোকবলের অভাবে পরিচলনায় সংকট সৃষ্টি হয় এবং যথা সময়ে রিনিউয়াল না করাতে ২ বার ওয়েবটির নিবন্ধন বাতীল হয়ে যায় । এতদা সত্যেও আগামীর আশায় বার বার ঠিক রাখার চেষ্টা্করতেছি । এখনও সেই মহেন্দ্র ক্ষন বা সঠিক সময় আসে নাই তাই যখন যেটুকুন পারছি তা জন্মভূমি রক্ষার পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি । সেই জন্যই বলছি জন্মভূমি রক্ষার নিমিত্বে আপনার সাজানো বা করনিয় ভাব সমূহ আমাদের ফেসবুক গ্রুপে তুলে ধরতে আমাদের সাথে যোগ দিন ।
তবে savemylandbd.com ওয়েভটির নামে প্রচারের সমস্ত ব্যয়ভার মেসার্স ডেইজী প্রডাক্টস বহন করে থাকে বিধায় ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন সহ যাবতীয় প্রিন্ট প্রচারে savemylandbd.com লেখা থাকিলেও পক্ষে-ডেইজী প্রডাক্টস লেখা থাকে । এমনকি কোন কোনটায় আবার সংক্ষেপে শুধু SML লেখা হয়ে থাকে ।

সংশয়

আপনারা কে কতখানি জানেন তা আমার জনা নাই । তাই ব্যাক্তিগত উদ্দিপনা নিয়ে আপনাদের জানাতে চাই যে, বরিশাল জেলার অন্তর্গত হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ থানার নদী ভাঙ্গন চলিতেছে শত বছরেরও বেশী সময়কাল থেকে । এই ভাঙ্গন প্রতিরোধে কে কি করেছে, কিভাবে করেছে, কতখানি করেছে তার সঠিক ব্যাখ্যা আমার জানা নাই । তবে যে যাই করুকনা কেন নদীর ভাঙ্গনে কেহই কোন ব্যাঘাত ঘটাইতে বা তা ঠেকাইতে পারে নাই ‘ভাঙ্গন’ সেত চলতেই রয়েছে । আর এভাবেই একে একে হিজলা থানার সবটাই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানারও প্রত্যেকটা ইউনিয়নেই তার ধ্বংস লিলার নক্সা আকঁতে থাকে ।
যদিও সঠিক পরিচর্যার অভাবে্ ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়া নদীর এই ধ্বংসযজ্ঞতাকে আগেকার মানুষেরা অভিসপ্তের গজব মনে করা হইত । যেকারণে ঐ গজব থেকে রক্ষা পাইতে বিভিন্ন ধরনের তদবির হিসাবে দোয়া মাফিল, দান দক্ষিনা নদী গর্ভে লুকিয়ে থাকা দানবদের উদ্দেশ্যে নানান দরনের ছদকা থেকে প্রাণী বলি, ফকিরি,দরবেশী ঝাড় ফুক, বাঙ্গন এলাকায় পানি পড়া ছিটানো, লোহার পেড়েক গেঢ়ে সীমানা বন, ধুলা দিয়ে গন্ডিকেটে বন দেওয়াা হইত । যাতে ঐ বন দেওয়া এরিয়ার ভিতরে এসে ঐসব দানবরা কোন ধরনের ধ্বংসলিলা চালাইতে না পারে । এমন আরো কত শত ভাব নিয়মে কত কিছুইনা করা হয়েছে যার কোন ইয়ত্তা নাই । তবে এর কোনটাতেই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে এতটুকুন আঁচ ফালাইতে পারে নাই । যেকারণে হিজলা থানার পরে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অনেক মানুষই জন্মভূমি ছেড়ে অনত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । এর পরেও যাহারা আছেন তাদের অনেকেই অন্যত্র বসত গড়েছেন আর যারা এখনও এলাকায় রহিয়াছেন তারাও পৈতৃক সম্পদের শেষ রষদটুকুন সংগ্রহের জন্য বিলিন হওয়ার সময়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করিতে ছিলেন মাত্র ।

যদিও এতকালে সাধারণের বসত ভিটা নিজের স্মৃতি বিজরিত নিদর্শনীয় স্থান সহ প্রাচীন থেকে বর্তমান ঐতিহাসিক স্থান স্থাপত্য নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে এবং এখনও প্রতিনিয়ত একের পর এক বিলিন হইতেছে । শত কাতর হৃদয়ের আহাজারীতেও নদীর ক্রোধ সামান্যতমও থেমে থাকেনি । অবশিষ্ট স্থান, স্থাপনা আক্রে থাকলেও কাতরিত চিত্তে হারিয়ে যাওয়ার বেদনার মধ্যদিয়েই ভয়ার্ত প্রহর অতিবাহিত করতে থাকে । যখন তখন নাজানি কখন হয়তোবা ঘুমের গোরে অচৈতন্ন ক্ষনে যাইতে হয় ঐ দানবের উদরে । তবুও স্থানীয়রা তাদের অবস্থান রক্ষা করিতে নাপারিলেও বিলুপ্ত সম্পদ অবলোকন বা নদীর গর্ভ থেকেে আবার বেড়িয়ে আসা সম্পদের আশায় তথায় বসতের নিমিত্বে বিকল্প উপায় হিসাবে অতি প্রয়োজনী প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল এবং বাজার সমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে । এর মধ্যে উলানিয়া করোনেশন হাই স্কুল, গার্লস স্কুলের স্থানান্তরীত স্থান নির্ধারন করে টিনের ঘর নির্মান করা হয়েগেছে । সময়ে ব্যবধানে যখন তখনই সেখানে ক্লাশ শুরু করা যাইতে পারে তেমন প্রক্রিয়া চলমান রহিয়াছে । কিন্তু বাজারের স্থান সঠিক ভাবে নির্নয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিলেও সময় সল্পতার কারণে বাজার কমিটি তা হন্নি বিলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে একমত হয় । এমনকি তাও অতি সত্তরই শুরু করা হবে মর্মে ঘোষনাও দেওয়া হয় ।
যাই হোক আপাতত এই ঘটনাটি এখানে দাড় করিয়ে অন্য কথা বলি । কেননা গল্পটা এখান থেকেই ভিন্ন মোড় নিতে শুরু করেছে । তবে এইটা গল্প হইলেও কল্পকাহিনীর মতন আজব কোন ঘটনা নয় । এইটা একান্তই সত্য এবং এর সর্ব প্রমানাদী এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে ।

যাইহোক গল্পটা শুরু করার আগে আমার পরিচয়টা দেই যাতে সত্য প্রমানের জন্য আমাকে খুজে পাইতে আপনাদের জন্য সহজ হয় ।
আমার নাম আব্দুল গাফফার হাওলাদার ( সবাই দুলাল বলে ডাকে )। পিতা- আব্দুল জব্বার হাওলাদার ( কর্ম মোতাবেক আমার বাবাকে সবাই জব্বার ডাক্তার হিসাবেই বেশী চিনে )। সাং-কোলচরী শ্যামরায়, পোষ্ট-চানপুর ( জোটের চানপুর ) থানা-মেহেন্দিগঞ্জ জিলা বরিশাল ।
যদিও এই ক্ষেত্রে আমার শ্বশুরের পরিচয়টাও দেওয়া প্রয়োজন কেননা তার জন্যই এই গল্পের মূল ঘটনাটা শুরু হয়েছে ।
আমার শ্বশুরের নাম- আব্দুস সাত্তার মাঝী, সাং-হাসানপুর, পোষ্ট-উলানিয়া, থানা-মেহেন্দিগঞ্জ, জিলা-বরিশাল । ( তবে আমার শ্বশুরকেও সত্তার চেয়ারম্যান হিসাবেই সবাই বেশী চিনে । কেননা তিনি প্রাক্তন উলানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন । এখানে উলা্নিয়াকে প্রাক্তন বলারও একটা কারণ আছে আর সেইটা হলো উলানিয়া এবং চানপুর মিলে তখন একটাই ইউনিয়ন ছিল । আমার জানা মতে তিনিই ছিলেন সেই সংযুক্ত ইউনিয়নের সর্বশেষ চেয়ারম্যান )
আমি পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকি ।
পারিবারীক একটা সমস্যা সমাধানের জন্য শ্বশুরকে আনতে দেশে যাই । আসতে লঞ্চে কেবিনে আমার শ্বশুরকে দেখে তার এলাকার ৩ন জন লোক আসেন । একজন আবুল কালাম, বাড়ী বালিয়া আর এক জন একটু বয়ষ্ক নাম আঃ রশিদ হাওলাদার, বাকী জন সবার ছোট হইলেও তার নামটা মনে নাই । তাদের আলোচনার বিষয় ছিল নদীর ভাঙ্গনে উলানিয়া বাজারের স্থানান্তর কোথায় হবে । শ্বশুর বলিলেন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাজার হন্নি বিলে নেওয়া হবে । কালাম সাহেব বলিলেন সেইটা কি ভাবে হয় বাজার হন্নি নিলে তাতো আমাদের থেকে অনেক দূর হবে । এমনটা হইলেতো আমাদেরকেও এখানেও একটা বাজার মিলাইতে হবে । আর তা হইলেতো বাজার দুইটা হয়ে যাবে, তার থেকে বাজারটা আমাদের বালিয়াতেই নেওয়ার ব্যবস্থা করেন ।

শ্বশুর বলিলেন সেইটাতো আর আমার একার সিদ্ধান্তে হবেনা এইটা কমিটির মতামতের বিষয় । আর তারা অনেক দেখা দেখির পরে, সব দিক মিলিয়ে হন্নির মতন আর কোন স্থান না পাওয়াতে সেখানেই বাজার মিলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এখন আর তা পরিবর্তন করা সম্ভব না । কেননা নদী যেইভাবে ভাঙ্গতেছে তাতে এই বছরের মধ্যে না সরাইলে বাজার থাকবেনা ।
কালাম সাহেবের কথা হইল বাজার আমাদের বালিয়াতেই নিতে হবে । শ্বশুরের কথা হলো সেইটা আমার একার দ্বাড়া সম্ভব না এইটা কমিটির ব্যাপার কমিটির মিটিংএ বালিয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বালিয়াও একইভাবে ভাঙ্গনের সামনেই আছে তাই এমন অবস্থায় সেখানে এত বড় একটা বাজার সেখানে নেওয়াটা আরো বিপদ জনক হবে । কালাম সাহেবের কথা হইল আবারইদ্দার গল্পের রকম । মানে গাছে উঠে যেই ডাল কাটবে সেই ডালে বসেই তার গোড়া কাটতে হবে এতে কাঠুরে পড়ুক আর মরুক সেইটা ওনার জানার দরকার নাই । উনি যা বলছে বলছেন তাই করতে হবে ।
সেই ভাব নিয়া একই কথার উপরে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হইলেও তা আর শেষই হয়না । কালাম সাহেবের এমন আচরণের কারণটা পুরপুরী না হইলেও কিছুটা অনুমান করতে পারি । আর তা হইল সে সাত্তার মাঝীর মতন লোকের সাথে এমন করে তর্ক করছে সেইটা তার সাথের লোকেরা দেখছে, আমিও দেখতেছি এইটা কি কম কথা । আমি কে সেইটা তার জানার দরকার না হইলেও আমার সামনে সে তার ক্ষমতা দেখাইতেছে এইটাই তার জন্য বড় বিষয় । তবে আমার শ্বশুর সম্পর্কে আমি যতটা জানি তাতে আমার এইটা বুঝতে বাকি রইলনা যে, আমাকে ক্ষিপ্ত না করার জন্যই সে কালাম সাহেবের কথাগুলো হজম কেরে তার সাথে এত সহজভাবে কথা বলতেছে ।

(এখানে বলে রাখি যে, আমার শ্বশুরের সাথে যখন আমি কোন বিষয় নিয়া কথা বলি তখন দুই জনের মধ্যে কম হোক আর বেশী হোক কিছুনা কিছু বিতর্ক হবেই হবে । জামাই হিসাবে হোক বা গভীরভাবে আরো কিছু জানার জন্য বিতর্কের মতন এমন আচরণের জন্য হোক, সে কিন্তু আমাকে খুবই ভালো বাসে । যদিও তার সাথে আমার এমন অনেক বিতর্কের নজির আছে যা অনেক সময় ঝগড়ার দোর গোড়া পর্যন্ত গেলেও কখনও বিদ্ধেষি ঝগড়া হয়নি । হয় সে হার মেনেছে না হয় আমি হার মেনেছি তবে আমার থেকে আমার শশুর অধীক রাগী হইলেও বেশীরভাগ তর্কের শেষটায় আমারই জয় হয়েছে । আবার এইটাও ঠিক যে, সে অত্র এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যাক্তি এমনকি আপোষহীন ন্যায় বিচারক হিসাবে তার যথেষ্ট শুনাম রহিয়াছে । তবুও আমার কাছে হার মানার অনেক কারণের মধ্যে সব থেকে যেইটা বেশী উল্লেখ্য সেইটা হইল আমিযে তার মেয়ের জামাই । তাই আমার কাছে হেরে যাওয়াটাকে সে পরাজয় মনে না করে, গুরু দায়ীত্ব মনে করেন । যাক সে সব, এখন যেইটুকু দরকার মনে করছি সেইটুকুই বললাম বাকি পর্যায়ে হবে)।

যাই হোক কালাম সাহেবের এমন অনর্থক বিতর্কে আমার ধর্য একটু নড়েচড়ে উঠল । তাই বললাম আপনারা বাজার সরানোর জন্য এত ব্যস্ত হয়েছেন কেন ?
এবার কিন্তু কালাম সাহেব চুপ থাকলেও । আমার শ্বশুর বলে উঠলেন বাজার না সরাইলেতো সবটাইতো নদীতে নিয়া যাবে ।
আমি বলিলাম নদীতে বাজার নিয়ে যাবে সেই ভয়ে বাজার না সরিয়ে নদীর গতী ঘুরিয়ে দেন ।
এবার শ্বশুর একটু গরম হয়েই বল্লেন এইটা কি সম্ভব নাকি ?
শ্বশুরের সেই কথার উত্তরে বল্লাম কেন সম্ভব না আল্লাহ তো বলেছে যে, তার বান্ধা খাস দিলে তার কাছে যা চাইবে সে তাই দিবে । এমনকি এইটাওতো সত্য যে, যদি চল্লিশ জন ব্যাক্তি তার কাছে হাত তুুুুলে কোন কিছুর জন্য ফরিয়াদ করেন তবে তাদের মধ্যে সব না হোক এক জনের উুছিলায় হইলেও সেই ফরিয়াদ আল্লাহ্ কবুল করে থাকেন । সেই হিসাব মতে চল্লিশ জনতো কমই আমাদের এই দ্বীপটাতে প্রায় দেড় লক্ষ লোকের বসবাস । এই দেড় লক্ষ লোককে জাগিয়ে তোলে যদি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা যায় তবে নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের থেকেও অনেক বেশী কিছু আপনারা পাইতে পারেন ।


পূর্ব পর-১

আমার শ্বশুর বললেন না এইটার থেকে কোন রকমে রেহাই নাই, এইটা আল্লার গজব । আমি বললাম কিষের গজব ? শ্বশুর বললেন পাপের গজব, পাপে এলাকা ভরে গেছে তাই এই এলাকা নদীতে না নেওয়া পর্যন্ত পাপ শেষ হবেনা । আমি বললাম কিষের এমন পাপ ? শ্বশুর বললেন যাত্রা, সার্কাস, অবিচার, কুবিচারে এলাকা ভরে গেছে এমন হইলে গজবতো আসবেই । আমি বললাম, তাহলে আপনিও কি পাপি ? শ্বশুর বললেন, " হ আমিও পাপি।" বললাম, " আমি যতটা জানি তাতে পাপ হয় বা হইতে পারে এমন কোন কাজ আপনি কখনও করেন না ।" শ্বশুর বললেন, কত ভাবেইতো পাপ হয়, তার সবটাকি আর বুঝা যায়না । আমি বললাম, সেইটা নায় হয় হইল তবেকি জন্মের আগেও আপনি পাপ করছিলেন । শ্বশুর বললেন সেইটা কি করে সম্ভব । আমি বললাম, যদি তেমনটা না হয় তবে আাল্লাহ আপনাকে এই পাপের স্থান বা পাপপুরীতে পাঠাইলেন কেন ? তবেকি আরো পাপ বাড়িয়ে বাকী সব ঘরা পূর্ণ করার জন্য ? শ্বশুর বললেন না, আমি জেনে বুঝে কখনও কোন পাপকাজ করিনা, তবে অজান্তে পাপ হইতেও পারে । আমি বললাম, আপনার মন যদি বলে যে, আপনি কোন পাপ করেন নাই তা হলে তো আর আপনি পাপি হইতে পারেন না । কারণ মানুষ পুণ্যের কথা সঠিক ভাবে বলতে না পারলেও পাপের কথা কিন্তু ঠিকই বলতে পারে । আর ৩ জন স্বাক্ষী ছাড়া কোন পাপকেই আল্লাহ্ আমল নামায় লিখেন না । তবে এই ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে পাপ কর্মটির সাথে প্র্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকতেই হবে । এদের মধ্যে ১ম জন হলেন যে, অন্যায় করে এবং ২য জন হইল যার সাথে অন্যায়টা করা হয় । আর ৩য় জন যিনি তিনি হলেন গায়েবের মালিক পাক পরোয়ারদীগার । যেকিনা’ প্র্রত্যক্ষ হউক আর পরোক্ষ হউক যেঘটনা যেই ভাবেই ঘটুক তার সবটা সর্বদাই তিনি অবগত থাকেন, রহেন বা জানেন ।
তবে এমন অনেক জায়গাই আছে আমাদের এখান থেকে সেখানে আরো অনেক বেশী পাপ কাজ হয়ে থাকে । কই সেখানেতো এমন ধরনের লাগাতার কোন গজবের ছোয়াটাও পরেনা, এইটার কারণ কি ? আমার এমন সব কথার সঠিক উত্তর না পেয়ে এবার শ্বশুর মিয়াও একটু কম কথা বলতে থাকে ।

তাই সুযোগ বুঝে আলোচনায় অন্য গতী আনতে বললাম আপনারা কি জানেন আপনাদের এই এলাকাটা এভাবে ভাঙ্গনের কারণ কি ? শ্বশুর মিয়া একটু নরম হইলেও উত্তরটা একটু জোরের সাথেই দিলেন, ঐ ‘গজব’ ।


পূর্ব পর-২
শ্বশুর মিয়ার এমন কথায় ভিন্ন ভাব বা কোন রকমের ইতস্তা না করে, এইটাই মিলাইলাম যে, এমনটা বলবেইনা কেন । কেননা দেও দানবদের নিয়া নানান ধরনের কল্প কাহীনীতে সাঁজানো গল্প সেই ছোট্ট বেলা থেকে শুনতে শুনতেইতো তারা এতোটা বড় হযেছে । যেকারণে ঐসব গল্পকে বাস্তব ভেবে ভয়ের নিশানা হিসাবে ব্রেইনের মধ্যে আবেগময় গজব হিসাবে সাজিয়ে রেখেছে ।

যেকারণে আমার গল্পকেও এমনভাবে উপস্থাপন করে বাস্তবকে সামনে আনতে হবে । ‘আমি বললাম’ না আসলে আপনারা যা মনে করেন, মূলে কারণ কিন্তু অন্যটা । এখানে আসল কারণটা হইতেছে পানি তার সঠিক ধারায় চলতে না পারা । আর তার জন্য আসল কারণ বা সমস্যা হইল ঐপাড়ে মকবুল দপ্তরীর মাছের পাড়া । কেননা ঐ পাড়া নামের বাঁধের কারণে পানির স্রোতটা নদীর ধারা মোতাবেক সঠিক পথে যাইতে পারেনা । পাড়ার সাথে বাঁধায় পরে একই স্থানে পানির পরিমান, পরিধি বা উচ্চতা বাড়তে থাকে । আর এভাবে পানির সমতলতা ব্যবধান পর্যায়ে উজানের পানি আরো শক্তিশালী হয়ে বাটীর দিকে যাইতে নতুন ভাবে বাঁকা পথ তৈরী করে এই পাড়ে এসে আছড়ে পরে । আবার এখানে এসেও সোজা পথ না পেয়ে একের পর এক পাড়ে আঘাত করতে থাকে । এমনকি সেই ক্ষীপ্ত গতীতেই তরঙ্গভরে পাড়
ঘেসেই দলেমুচড়ে চলতে থাকে । আর এভাবেই নদীটি ধ্বংস যজ্ঞ হয়ে এমন গজবীরূপে দানবী তান্ডব
চালাইতেছে ।

প্রমান স্রোতের ধারায় বাঁধার কারণে পুরপুরী বাঁকা পথে চলে বলে মূল ধারা অর্থাৎ ঐ পাড়ের পানিতে শীথিলতা থাকার কারণেই এই পাড় ভাঙ্গলেও সেই মাটি ঐ পাড়ে গিয়ে নতুন নতুন চরে রূপ নিতেছে ।

এবার আপনারাই বলেন হাজার বছরেরও বেশীকাল ধরে যেই দ্বীপে পূর্বসূরী হিসাবে মানুষ বসবাস করে আসছে । তারা যদি এতই পাপী হইত আর তার জন্য যদি আল্লাহ্ এমন গজব নাজিল করে থাকেন । তাহলে কি সেই আল্লাহ্’ই ঐ একই পাপিদের বসবাসের জন্য আবার নতুন নতুন চর বানাইতে পারে ?

পনারা সেইটা মানলেও আমি মানিনা । কেননা এমন ভুল আল্লাহ কখনও করতে পারেনা । আর পাপী যে, সে এই পাড়ে থাক আর ঐ পাড়ে যাক যেখানেই থাক মাপ পাবেনা । তাহলে কি এইটা বুঝতে হবে যে, ঐপাড়ে পাড়ে রেখে তাদের দ্বারা পাপের ঘরা আরো ভরার জন্যই ‘আল্লাহ’ নতুন করে জায়গা করে দিতেছে যাতে তারা আরো পাপ করতে পারে । আবার তেমনটাই যদি হয়, তা হলে যারা অন্যত্র দূর কোথাও আরো ভালো জায়গায় গিয়ে বসবাস করতেছে, তারাকি পাপি ছিলনা । নাকি তারা পাপ করার কারণেই ভাগ্য বদলে অমন শান্তিময় উপহার হিসাবে জৌলশময় জীবন যাপন করতে পারতেছে । তাই বলি, এমন সব কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে নিজেদেরকে অপরাধী বা পাপি সাজিয়ে সৎ কাজের থেকে দূরে থাকা ভালোনা ।

কেননা যেকোন বিপদ থেকে জন্মভূমি রক্ষা করা সবার জন্য ধরর্মীয় ভাবেই নৈতিক দায়ীত্ব । আর তা ভূলে একজনের অন্যায়কে সর্বজনের পাপের গজব বলে নিজেদের দুর্গতী আরো বাড়ানো ঠিকনা । আমার ধারণা, সাজানো এই গজব ঠেকিয়ে, চাইলে যথাযথ ভাবেই আপনারা আপনাদের জন্মভূমি রক্ষা করতে পারেন । আর তাই আমার ইচ্ছা আপনারা সেইটাই করেন যেইটাতে কোন কিছু না সরিয়ে এমন কি জন্মভূমি ছেড়ে আপনাদেরকেও জেন অন্য কোথাও যাইতে না হয় ।


চলবে . . . .

No comments

Copyright © 2015 Abdul Gaffar Howlader. Powered by Blogger.