খুব কাছ থেকে দেখা একটি বিড়ালের আচরণ
জানিনা কত দিনে শেষ করতে পারব এই লেখা নাকি আদৌ কখনও পারবনা। কেননা- আমি যতটা জানি তার থেকে আরো কিছু বেশী জানার ঈশারা পাইতেছি। তাই আমি আমার ভাবের চোখে, পরিমানের থেকে একটু মাত্র বেশী নিরিক্ষণে’ই এমনটা অনুধাবন করতে পারতেছি।
কারণ-অজানা কিছুকে ভীরের মধ্যে একটু ধীরে ধীরে’ই জানতে হয়।
ছোট্ট বেলার অপরিপক্ক মনের দুরন্তপনা খেলার ফাকে কুকুর, বিড়াল, ঘুঘু, শালিক, টিয়া নিয়া অনেকটা সময় কাটিয়েছি। যার জন্য অনেকের মধ্যে বেশীটা কুট্টি আফা (বড় চাচার মেঝ মেয়ে শেফালী) খালেইক্কার বাপ বলে ডাকতেন। তখন শিশু বয়সের উদ্ধীপণা ছিল ১০ এর কোঠার ঔধ্যত্বপনায়। আর এখন বলছি ৬৬ বছরের ক্লান্তভরা ধীর মনের নীভীর সুপ্ততার স্মৃতিতে বন্দী দশায় কাতরানোর দোলায় ঝড়ে পরা কথা গুলো এখন মুক্তার মতন ঝক ঝকে মনে হয়।
এখন আর সেই উদ্ধিপনা নাই, তাই এবার ক্লান্ত মনের একটু ভিন্ন ভাবের দাবদাহ যে, একটা বিড়াল কিভাবে তার জীবন উপভোগ করে থাকে। তাতে আমি যা দেখেছি এর থেকে যতটা বুঝতে পেরেছি তার সবটার সার্বিক ব্যাখ্যা দিতে পারবনা জানি। তবুও চেষ্টা করব সংযোজন বিয়োজন করে যতটা লিখতে পারব চেষ্টা করে দেখি কতটা লিখতে পারি।
ছোট্ট বিড়ালটি কোথার থেকে এসেছে, সেইটা জানিনা, তবে আমাদের ঘরে এসে কিভাবে বসত গেড়েছে সেইটা জানলেও এখন সেইটা লিখবনা। তবে এই লেখার মাঝে ঝাকে না আসলেও ফাকে ফাকে কিছুটা করে আসতে পারে।
কেননা আমি মানি যে, বিড়ালটির অতিত বাদ দিয়ে বাচ্চা দেওয়ার পরের কথা বলি তার মধ্যে প্রথমে যদি শুধু এর চোখ নিয়া লেখা হয়। এর মণি থেকে চাহনির বর্ণনাতে পূর্ণাঙ্গ রচনা রূপে একটা প্রবন্ধ সৃষ্টি হবে। কেননা আঁকারে ছোট হইলেও সব মিলিয়ে ভাবনে যেন পূর্ণাঙ্গ একটা গ্রহের ন্যায় ।
চতুর পাশে পুষ্পের পাপড়ি ছড়ানো আলপণা গুলো কাঁচের প্রলেপে আবৃত। ছড়ানো রেণুর মাঝখানে সাঁজানো চক চকে একটা কালো মানিক বসানো। মূল্য মানে প্রতিখানে তুল্যহীন যাচনা, করুণ ভালোবাসার বাসনায় তার কতইনা নীভীর আরাধনা।
আমরা মানি যেকোন জংলি প্রাণীকে নিজের ইচ্ছা মতন যেমন খুশী তেমন করে পোষ মানানো যায়।
No comments